শিরোনাম
রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

গাজীপুর মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

গাজীপুর মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা বাইপাস-মিরেরবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার দুই পাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় সৃষ্টি হয়েছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস অবস্থা পথচারীসহ পরিবহন চালক-যাত্রীদের। গাজীপুর মহানগরীর মহাসড়কগুলোর গুরত্বপূর্ণ ট্রাফিক পয়েন্টে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছে পথচারী, পরিবহন চালক-যাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগরীর ঢাকা বাইপাস-মিরেরবাজার মহাসড়কের যোগীতলা, মোগরখাল ও ঝাঁজর এলাকার বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের দুই পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে রয়েছে। অথচ এসব স্তূপের পাশে ‘ময়লা ফেলা নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। পথচারীরা জানান, মহাসড়কটির ঝাঁজর থেকে মোগরখাল মহিলা ও শিশু হেফাজতখানা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ভোগড়া বাইপাস সবজি ও ফল আড়তের উচ্ছিষ্ট থেকে শুরু          করে মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হয়। মোগরখাল গ্রামবাসী জানায়, ওই গ্রামসহ আশপাশের অন্তত তিনটি গ্রামের বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের অগণিত শ্রমিক মহাসড়কটি দিয়ে হেঁটে কর্মস্থলে যায়। মহাসড়কের দুই পাশে ময়লার ভাগাড় থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা চলাচল করেন। বাইপাস থেকে সিলেটগামী ট্রাকচালক মোতালেব মিয়া জানান, ঢাকা বাইপাস-মিরেরবাজার মহাসড়কে এমনিতেই দিন-রাত যানজট লেগে থাকে। এর ওপর মহাসড়কের দুই পাশে ময়লার ভাগাড়ের কারণে নিঃশ্বাস নেওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। একই দৃশ্য ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কড্ডা এলাকায়। এখানে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিভিন্ন গার্মেন্টের বর্জ্যসহ আশপাশের এলাকাগুলোর আবাসিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কর্মীরাও বর্জ্য এখানে ফেলছে।

 

 

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস এম সোহরাব হোসেন জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত কোনো ডাম্পিং জোন নেই। তবে পৃথক স্থানে চারটি ডাম্পিং স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়ে যাবে। মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে নতুন দশটি ১৫ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক দেওয়া হয়। ট্রাকগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নেই।

 

 

সর্বশেষ খবর