চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ৩ এপ্রিল, একজন। দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত হয় ৫ এপ্রিল। ১২ এপ্রিল এক দিনে আক্রান্ত হন পাঁচজন। ২৬ এপ্রিল এক দিনে শনাক্ত হন সাত রোগী। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭। তা ছাড়া চট্টগ্রামে এক শিশু, দুই বৃদ্ধ, দুই নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে মারা যান পাঁচজন। চট্টগ্রামে ক্রমবর্ধমান হারে করোনাভাইরাসের রোগী বাড়ছে। কিন্তু এর বিপরীতে চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র বাড়ছে না। সেই প্রথম থেকে যা দিয়ে করোনা মোকাবিলা শুরু, এখনো সেই সব সেবা কেন্দ্রই। চট্টগ্রামে সরকারিভাবে নতুন করে কোনো সেবা কেন্দ্র প্রস্তুতির পরিকল্পনাও দেখা যাচ্ছে না। চট্টগ্রামে বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে জেনারেল হাসপাতালের ১০০ শয্যা ও ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) ৩০ শয্যায়। প্রাইভেট হাসপাতালে সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো চালু হয়নি। চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় ২৬ মার্চ। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ৭০২টি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ১০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন। করোনা চিকিৎসায় স্বাচিপ চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য প্রশাসন করোনা চিকিৎসা নিয়ে নানাভাবে অবহেলা করে চলেছে। চট্টগ্রামে জেনারেল হাসপাতালে ১০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অথচ প্রতিদিনই আক্রান্তের হার বাড়ছে। সময় থাকতে নতুন করে আরও শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে না।’ চট্টগ্রামে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমর নাথ বলেন, ‘জেনারেল হাসপাতালের ২৫০ শয্যার মধ্যে করোনা রোগীদের ১০০ শয্যায় চিকিৎসা চলছে।
বাকিগুলোয় আইসিইউ, গাইনিসহ কিছু জরুরি ওয়ার্ড চালু আছে। ফলে এখানে নতুন করে আর কোনো শয্যা প্রস্তুত করার সুযোগ নেই।’