কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আলী আকবার ডেইল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ (৩৪) দাবি করেছেন, তাঁর মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক ডিভাইস বসিয়ে ‘হ্যাক’ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তে ও সরকারসহ গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে হারুনুর রশিদ বলেন, কয়েক বছর আগে শ্বশুরবাড়িতে থাকার সময় বিদেশি এক ‘ব্রেন হ্যাকার’ চক্র দেশি সহযোগীদের সহায়তায় তাঁকে অজান্তে ইনজেকশন পুশ করে মাথায় ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা নিউরো-চিপ বসিয়ে দেয়। চা পান করার পর তিনি কয়েক ঘণ্টা অচেতন হয়ে পড়েন। জেগে ওঠার পর মাথায় ব্যথা ও হালকা রক্তপিণ্ডের মতো কিছু লক্ষ করেন। তাঁর দাবি, ‘কোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন হাতে নিলেই আমার শরীর হালকা কেঁপে ওঠে।
আমার স্পর্শ করা ফোন মুহূর্তেই অন্য কারও নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এতে হ্যাকাররা আমার সব তথ্য ও অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।’ ঘটনাটির পর তিনি থানায় জিডি ও সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
তাঁর মাথার অকসিপেটাল হাড়ের কাছ থেকে একটি ক্ষুদ্র ‘ফরেন বডি’ও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তিনি। ডিভাইসটির আকৃতি কয়েকটি চালের দানার মতো, ওপরের অংশ স্টেইনলেস স্টিলের মতো চকচকে এবং তাতে চৌম্বকীয় শক্তি রয়েছে। তাঁর আইনজীবী শাহরিয়ার তুহিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, দুটি পৃথক অস্ত্রোপচারের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং দ্বিতীয় অপারেশনে ক্ষুদ্র ওই ডিভাইসটি উদ্ধার করা হয়। এর ভিডিও ফুটেজও সংরক্ষিত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আইনজীবী বলেন, উন্নত দেশগুলোয় গুপ্তচরবৃত্তির পর্যায়ে এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চলছে। শুরুতে বিশ্বাস করা কঠিন হলেও ইন্টারনেটে খুঁজে এ বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে বিষয়টি চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন এবং তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। সংবাদ সম্মেলনে হারুনুর রশিদ দাবি করেন, ‘আমি শুধু নিজের জন্য নয়, এ অদৃশ্য সাইবার অপরাধী চক্রের হাত থেকে অসংখ্য মানুষকে রক্ষা করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাংবাদিকরা চাইলে গভীরভাবে তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করতে পারেন।’