শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
সিলেট

এবি পার্টির কাজ চলছে গোপনে গোপনে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর কথিত সংস্কারপন্থিদের গড়া ‘আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি)’ সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে চলেছে গোপনে গোপনে। এমনকি করোনাকালেও থেমে নেই তাদের তৎপরতা। সিলেটে জামায়াত ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যারা এক সময় সম্পৃক্ত ছিলেন, তারাই এখন এবি পার্টিকে সংগঠিত করতে ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে। তথ্যানুসারে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পরিষদ মজলিসে শুরার সদস্য ছিলেন মুজিবুর রহমান মঞ্জু। সংস্থারপন্থি হওয়ায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ওই বছরের এপ্রিলে তিনি জামায়াত থেকে বেরিয়ে আসা কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে ‘জনআকাক্সক্ষার বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়েন। সেই প্ল্যাটফর্ম থেকেই গত ২ মে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’র ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আহ্বায়ক সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী (জামায়াতের মজলিসে শুরার সাবেক সদস্য) ও সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু। জনআকাক্সক্ষার বাংলাদেশকে রিসার্চ উইং হিসেবে রেখেছে এবি পার্টি। জানা গেছে, এবি পার্টি ঘোষণার আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সিলেটে জনআকাক্সক্ষার সমন্বয় কমিটি ও নভেম্বরে নাগরিক সংলাপ করা হয়।

এরপর এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহকারী সদস্যসচিব ও সদস্য পদে সিলেটের ৭ জন স্থান পান। এরা আগে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে সম্প্রতি সিলেট জেলা ও মহানগরে কমিটি গঠনের তৎপরতা শুরু করেছে এবি পার্টি। ইতিমধ্যে সিলেটের ১৩ উপজেলার মধ্যে ৬টিতে এবং মহানগরের ৬টি থানার মধ্যে ৪টিতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোপনে করা এসব কমিটির দায়িত্বশীলদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি নয় এবি পার্টি। তবে জামায়াত-শিবির থেকেই নেতা-কর্মীরা এবি পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন বলে স্বীকার করেছেন দলটির এক দায়িত্বশীল নেতা।

সূত্র মতে, বর্তমানে সিলেটে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিয়েছে এবি পার্টি। এ লক্ষ্যে সিলেটের বিভিন্ন অঙ্গনের পরিচিত মুখদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। গ্রহণযোগ্য এ ব্যক্তিদের দলে ভেড়াতে পারলে দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করছেন এবি পার্টির দায়িত্বশীলরা।

জানতে চাইলে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব ও সিলেটের সমন্বয়ক ওমর ফারুক বলেন, ‘সব জায়গায় আমরা কমিটি গঠনের কাজ করছি। কিছু কিছু জায়গায় কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এবং কৌশলগত কারণে কমিটির দায়িত্বশীলদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব কমিটির দায়িত্বশীলদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক কার্যক্রম বেশ ভালোই এগোচ্ছে। এবি পার্টিতে জামায়াত-শিবিরের বেশিরভাগ নেতা-কর্মীই যোগদান করছেন। অন্যান্য দল থেকেও আসছেন, তবে জামায়াত-শিবির থেকেই বেশি আসছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর