আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়, একটা গোষ্ঠী এটা বুঝেও না বোঝার ভান করছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের শান্তি বিনষ্ট করতে গোপনে উসকানি দিচ্ছে। গতকাল নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শিল্পকলার শক্তিশালী মাধ্যম ভাস্কর্যের বিরোধিতায় নেমেছে। তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন রাজনীতির কবি। বক্তৃতা ও বাগ্মিতায় তিনি অমর। এই বাংলার জনমানুষের জীবন বদলের শিল্পী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতির ভাঙা সেতু মেরামত করে তৈরি করেছিলেন অটুট সেতুবন্ধ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য এ দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর চ্যালেঞ্জ। অন্য কোনো পথ ও ইস্যু না পেয়ে তারা ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে এনেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের যে কোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্য বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না, হবে না। এ বিষয়ে কোনো আপস নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরকারের সরলতাকে দুর্বলতা না ভাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্য বরদাস্ত করা হবে না।
শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল মান্নান ইলিয়াস, চিত্রশিল্পী সহিদ কবির ও শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।