আগের সপ্তাহে শেষ কার্যদিবস বড় উত্থান হলেও গতকাল সপ্তাহের প্রথম দিনে সূচকেব বড় পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এ দিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। এতে লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়। প্রথম মিনিটেই ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে দিনের লেনদেন শেষে সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৫০ পয়েন্টে নেমে যায়। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩১টির। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। অপরদিকে ব্যাংক খাতের মাত্র তিনটি কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৪টির এবং তিনটির দাম অপরিবর্তিত থাকে। সূচকের বড় পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ২ হাজার ৭০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩১৪ কোটি ২ লাখ টাকা। বড় অঙ্কের লেনদেনে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে রবির শেয়ার। কোম্পানিটির ২৮১ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১৯০ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬৮ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, সিটি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বিডি ফাইন্যান্স। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৮টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।