বরিশাল বিভাগের ডায়রিয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। উপকূলীয় জেলা বরগুনায় প্রথম ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এ পর্যন্ত সর্বাধিক আক্রান্ত হয় দ্বীপ জেলা ভোলায়। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরও সার্বিকভাবে পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। বরিশাল অঞ্চলের নদ-নদী খাল-বিলের পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩৯ জন রোগী। গত ১ সপ্তাহে ভর্তি হয়েছেন ৩৪৬ জন এবং গত ১ মাসে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৬ জন ডায়রিয়া রোগী। তবে হাসপাতালের মূল ভবনে ডায়রিয়া রোগীদের স্থান না হওয়ায় ভবনের বাইরে খোলা স্থানে শামিয়ানা টাঙিয়ে চিকিৎসা চলছে ডায়রিয়া রোগীদের। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৯জন।

গত এক সপ্তাহে ৭ হাজার ৭৭ জন এবং ১ মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭০৯জন। তিনি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে বিভাগের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৫ জন, পটুয়াখালীতে ৪ জন, বরগুনায় ৩ জন এবং ভোলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত ১জন সহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরও সার্বিকভাবে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের এই শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, বরিশালের নদী-নদী ও খাল-বিলের পানিতে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। এই পানি ব্যবহারে ডায়রিয়া আক্রান্তের হার বাড়ছে।