কঠোর লকডাউনের মধ্যে কী কারণে আখাউড়ার ইউএনও রুমানা ২৩ জুলাই সপরিবারে নৌকা ভ্রমণ করেছেন তার তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ২৭ জুলাই জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা আখাউড়ায় গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার কাছে ইউএনও এবং তার সহযাত্রী সবাই বিষয়টি স্বীকার করেন। সড়কে গাড়ি রেখে নৌকায় আরোহণের কারণে রাস্তায় চলাচল বিঘিœত করার অভিযোগের উত্তরে জানানো হয়, সড়কটি গাড়ি রাখার স্থানেই শেষ। এতে চলাচলের কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। এদিকে তুষ্টকরণবিষয়ক এক জল্পনায় বলা হয়, মূলত উত্তর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের চারটি ঘরে অনিয়ম হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে ইউএনও তদন্ত শুরু করেন। এমনকি কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এর পর থেকে ইউএনও তোষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ওই ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান ভূঁইয়া স্বপন। তিনি মূলত নৌকা ভ্রমণের আয়োজন করেন। তবে ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. কুতুব আলী।
তদন্তের মুখোমুখি হওয়া এক জনপ্রতিনিধি জানান, তিনি যা সত্য তা-ই বলেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. কুতুব আলী বলেন, ‘আমরা যে ঘরগুলো নির্মাণ করছি সেগুলোয় কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। অন্য একটি ঘরের সঙ্গে মিলিয়ে আমাদেরগুলোকেও “ত্রুটিপূর্ণ” বলে লেখা হয়। অথচ তখন আমরা ঘরের তেমন কোনো কাজই করিনি। চেয়ারম্যান স্বপন বলেছিলেন আমাদের এলাকার খেয়াঘাটে একটি ঘাটলা করা যায় কি না তা দেখার জন্য ইউএনওকে অনুরোধ করতে। পরে ঘাটে আসার পর অনতিদূরে থাকা বিজয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যানের একটি মাছের প্রজেক্ট দেখতে নৌকায় ওঠা হয়।’