শিরোনাম
সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারী বর্ষণ ও বন্যার শঙ্কা কাটেনি বান্দরবানে পাহাড়ধস

আরও চার দিন বৃষ্টিপাত ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে

প্রতিদিন ডেস্ক

ভারী বর্ষণ ও বন্যার শঙ্কা কাটেনি বান্দরবানে পাহাড়ধস

নদীভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ডলুরা গ্রাম -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মৌসুমি বায়ুর প্রভাব থাকায় এখনো ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যার শঙ্কা কাটেনি বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। গতকাল জানানো হয়, আরও চারদিন বৃষ্টিপাত ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এ সংশ্লিষ্ট এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এদিকে বান্দরবানে গতকাল পাহাড় ধসে তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো বিবরণ- বান্দরবান : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি দক্ষিণাঞ্চল তুমব্রু এলাকায় প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ২ দিন থেমে থাকার পর গত শনিবার রাত থেকে ঘুমধুম এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গতকাল সকালের মধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়নের কোণারপাড়া, তুমব্রু হিন্দু পাড়া, তুমব্রু বাজার, পশ্চিমকূল পাড়া, মধ্যম পাড়াসহ আশপাশের আরও কয়েকটি এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এ সময় পাহাড়ের ঢালে স্থাপিত একটি কাঁচা বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়লে একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছেন। চকরিয়া (কক্সবাজার) : মাতামুহুরী নদীতে পানি কমে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় কমতে শুরু করেছে বানের পানি। তবে নানা দুর্ভোগে পড়ছেন বানবাসি মানুষ। পাঁচদিন পানিবন্দী থাকার পর গতকাল থেকে এসব লোকজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেন। কিন্তু সড়কগুলো ভেঙে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নলকূপগুলো কয়েকদিন ধরে পানিতে ডুবে থাকায় পানি উঠছে না। এতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট তৈরি হয়েছে। দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, আমাশয়, জ্বরসহ পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি। চকরিয়ার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শুধু মানুষ নয়, সঙ্গে থাকা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। দেখা গেছে, চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, ডুলাহাজারা, ফাঁসিয়াখালী, চিরিংগা, খুটাখালী ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে পানি নেমে গেছে। অধিকাংশ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। ফলে এখনো যান চলাচল বন্ধ আছে। অনেক এলাকায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপার করছেন লোকজন। মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : মঠবাড়িয়ায় টানা ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতার কারণে পান চাষিদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেখা গেছে, গতকাল থেকে পান চাষিরা তাদের পানের বরজের জমিতে জমে থাকা পানি  সেচযন্ত্র দিয়ে নিষ্কাশন করছেন। নিষ্কাশন করলেও বরজে দেখা দিচ্ছে ছত্রাকজনিত রোগ ব্লাকস্পট। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শওকত হোসেন বলেন, উপজেলার প্রায় ৮০জন কৃষকের প্রায় ১০ হেক্টর জমির পানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণের পানি সরে গেলেও জলাবদ্ধতার কারণে পানের বরজে ব্লাকস্পট নামে এক ধরনের ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, একটানা কয়েকদিন খরা না হলে পান চাষিদের বরজে পুরোপুরি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর