শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনে বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদ উল্লাহর লাশ দাফনে স্থানীয়দের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া এ মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। পরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে লাশের গোসল ও দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের মিরসরাই প্রতিনিধি জানান, করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার গ্রামের আবদুর রশীদ মুহুরী বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদ উল্লাহ ৩০ জুলাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ আগস্ট রাতে মারা যান।

মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে চট্টগ্রাম থেকে লাশ দাফন-কাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসী বাধা দেয়। পরবর্তীতে তারা মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ‘শেষ বিদায়ের বন্ধুু’ সংগঠনের কার্যালয়ে ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। বুধবার সকালে গোসল শেষে বাড়িতে লাশ নিয়ে যান। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদ উল্লাহর ছেলে হোসেন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যুর পর গ্রামের লোকজন লাশের গোসল করানো, কবরের মাটি খোঁড়া ও দাফন করাতে বাধা দেয়। গালিব নামে একজন প্রবেশপথে অ্যাম্বুলেন্স না যেতে বাশ পুঁতে দেয়।

বিষয়টি করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেনকে জানালে তিনি ‘শেষ বিদায়ের বন্ধু’র মাধ্যমে লাশ পরিবহন ও গোসলের ব্যবস্থা করেন।

করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদ উল্লাহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কারণে বাড়ির গালিব উল্লাহ লাশ দাফনে বাধা দেয়। সে বাড়ির প্রবেশমুখে বাঁশ বেঁধে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশে বাধা দেয়। পরবর্তীতে আমি লাশের গোসল, জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করি।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহমেদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদ উল্লাহর লাশ দাফনের জন্য সকাল ১০টায় সময় নির্ধারণ করার কথা বলা হলেও তাঁর পরিবারের লোকজন সকাল ৯টায় তাড়াহুড়া করে দাফন করে ফেলে। ফলে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়নি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদ উল্লাহকে গার্ড অব অনার দেওয়ার জন্য সকাল ১০টায় সময় নির্ধারণ করা হয়। উনার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় পরিবারের লোকজন সকাল ৯টায় দাফন করে শহরে চলে যায়। সে জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া যায়নি। তবে লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার বিষয়টি শুনিনি, জানলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।

সর্বশেষ খবর