শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ দিতে বলল হাই কোর্ট

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা প্রসঙ্গ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম হবে শুধু ঘটনাস্থলকেন্দ্রিক। যেখানে ঘটনা ঘটবে সেখানেই শুধু কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। চেম্বারে বা থানায় বসে আদালত পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। এসব বিষয় উল্লেখ করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে বলেছে হাই কোর্ট। প্রশিক্ষণের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে কথা বলতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। একইসঙ্গে আদালত নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় দুই শিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়ার ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। ২৬ আগস্টের মধ্যে এ ব্যাখ্যা দিতে হবে। নেত্রকোনায় দুই শিশুকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়ার কাছে জেলা প্রশাসক যে ব্যাখ্যা চেয়েছেন, তার কপি আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চান বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনা আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন ব্লাস্টের আইনজীবী রেজাউল করিম। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার। শুনানির এক পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেশ কিছু ঘটনায় সাজা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, মিস্টার অ্যাটর্নি জেনারেল, আপনি আছেন ভালোই হয়েছে। যতটুকু নিউজে পড়ে জেনেছি ‘ম্যাজিস্ট্রেট রাজিয়া সুলতানা তার চেম্বারে বসে অর্ডারটা পাস করেছেন। এটা কি তিনি  পারেন?’ তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মাই লর্ড এটা হয়তো অন্য বিষয়। এতে তিনি প্রসিডিউর লংঘন করেছেন।’ হাই কোর্ট বলে, আমরা পত্রপত্রিকায় দেখি হয়তো শাস্তিযোগ্য অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটরা দুই দিন, তিন দিন পরে গিয়ে মোবাইল কোর্টে সাজা দিয়ে দেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং হয়, সেখানে মোবাইল কোর্ট কীভাবে পরিচালনা হবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক।’ অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে কথা বলব।’ পরে আদালত বুধবারই শিশু দুটিকে মুক্তির নির্দেশ দেয়।

সর্বশেষ খবর