নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক দেওয়ান রাহাত করিম মুকুল হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মলম পার্টির দুই সদস্য মোসারফ হোসেন ও লিটন মল্লিকের মৃত্যুদন্ডন্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মৃত্যুদন্ডন্ডের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি নিয়ে গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেয়।
তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মুক্তার হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের কোনো আবেদন না থাকায় এ বিষয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
২০০৯ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এক রায়ে মলম পার্টির সদস্য মোসারফ হোসেন ও লিটন মল্লিককে মৃত্যুদন্ড এবং মুক্তার হোসেন, জাহাঙ্গীর ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আলালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স ও কারাবন্দী আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাই কোর্ট চারজনের সাজা বহাল রেখে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রায় দেয়। রায়ে অটোরিকশা চালক আলালকে খালাস দেওয়া হয়। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোসারফ ও লিটন। এ আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রায় দেয়।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রভাষক দেওয়ান রাহাত করিম মুকুলকে বিমানবন্দর সড়কের (আর্মি স্টেডিয়াম) পাশের এলাকা থেকে ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে। ওই রাতেই মুকুল মারা যান।
পরদিন পুলিশ গুলশান থানায় মামলা করে। কয়েকদিন পর পুলিশ অটোরিকশার মূল চালক আলালকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোসারফ হাজিকে ওই বছরের ২ অক্টোবর গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর জাহাঙ্গীর হোসেন ও মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। চারজনই রাহাত করিমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।