তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকরাই গণমাধ্যমের নানা বিশৃঙ্খলা দূর করে শৃঙ্খলা আনার দাবি জানিয়েছেন। আমি সাংবাদিকদের একজন হয়ে সেই চোখ দিয়ে বিষয়গুলো দেখার এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিশৃঙ্খলা দূর করার চেষ্টা করি। অনেক ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা এসেছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা বলেন। ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বক্তৃতা করেন। ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন। সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় উদ্বেগের কারণ নেই জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। কিন্তু সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতাদের কেন একসঙ্গে করা হলো, সেটি আমারও প্রশ্ন। বিষয়টি আমি আপনাদের মতো পত্রিকায় দেখে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সংবাদপত্র প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানেও নানা অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা আছে। ডিএফপিতে পত্রিকার যে প্রচার সংখ্যা, সেটি যুগ যুগ ধরে একটি অবাস্তব সংখ্যা। পত্রিকা বের হয় ৩ হাজার, কিন্তু প্রচার সংখ্যা দেখায় ১ লাখ। পত্রিকা বের হয় ৫ হাজার, প্রচার সংখ্যা দেখায় ২ লাখ। আমরা সেখানেও একটি শৃঙ্খলা আনব। ৪০০ পত্রিকা দুই বছরে একটি সংখ্যাও ডিএফপিতে জমা দেয়নি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই ১২০টির মতো পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। কারণ, এই পত্রিকাগুলো বের হয় না। তারা বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। যেদিন বিজ্ঞাপন পায়, সেদিন ছাপায়। এতে করে মূলধারার পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপনবঞ্চিত হয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা দেশের বাস্তব চিত্র তুলে আনুক। বাংলাদেশের জনগণ যেন দেশের বাস্তব চিত্র জানতে পারে। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও সাংবাদিকদের পাশে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, অতীতের সরকারগুলো সংকটকালে সাংবাদিকদের পাশে এভাবে দাঁড়ায়নি। সাংবাদিকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী একটি ফান্ড গঠন করে দিয়েছেন। এটা কিন্তু অতীতে কেউ চিন্তা করেনি।
শিরোনাম
- লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
- নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
- ভাড়া নিয়ে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুই শতাধিক বাস ভাঙচুর
- সিংড়ায় শীতের আগমনে লেপ–তোষকের দোকানে ভিড়
- মিরপুরে বিআরটিএ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ
- ‘আগামী নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়া হবে’
- হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
- সোনারগাঁয়ে তাঁতী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
- ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ জাবিতে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ
- ‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন’
- মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে কঙ্গো ও এম২৩ বিদ্রোহীরা
- বিশ্বনাথে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই সহস্রাধিক মানুষ
- বারী সিদ্দিকীর জন্মদিনে কেক কাটলেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা
- তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
- দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র্যালি
- সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ