শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ডিইউজের এজিএমে তথ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার দাবি সাংবাদিকদেরই

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার দাবি সাংবাদিকদেরই

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকরাই গণমাধ্যমের নানা বিশৃঙ্খলা দূর করে শৃঙ্খলা আনার দাবি জানিয়েছেন। আমি সাংবাদিকদের একজন হয়ে সেই চোখ দিয়ে বিষয়গুলো দেখার এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিশৃঙ্খলা দূর করার চেষ্টা করি। অনেক ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা এসেছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা বলেন। ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বক্তৃতা করেন। ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন। সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় উদ্বেগের কারণ নেই জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। কিন্তু সাংবাদিক সংগঠনগুলোর          নেতাদের কেন একসঙ্গে করা হলো, সেটি আমারও প্রশ্ন। বিষয়টি আমি আপনাদের মতো পত্রিকায় দেখে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সংবাদপত্র প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানেও নানা অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা আছে। ডিএফপিতে পত্রিকার যে প্রচার সংখ্যা, সেটি যুগ যুগ ধরে একটি অবাস্তব সংখ্যা। পত্রিকা বের হয় ৩ হাজার, কিন্তু প্রচার সংখ্যা দেখায় ১ লাখ। পত্রিকা বের হয় ৫ হাজার, প্রচার সংখ্যা দেখায় ২ লাখ। আমরা সেখানেও একটি শৃঙ্খলা আনব। ৪০০ পত্রিকা দুই বছরে একটি সংখ্যাও ডিএফপিতে জমা দেয়নি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই ১২০টির মতো পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। কারণ, এই পত্রিকাগুলো বের হয় না। তারা বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। যেদিন বিজ্ঞাপন পায়, সেদিন ছাপায়। এতে করে মূলধারার পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপনবঞ্চিত হয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা দেশের বাস্তব চিত্র তুলে আনুক। বাংলাদেশের জনগণ যেন দেশের বাস্তব চিত্র জানতে পারে। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও সাংবাদিকদের পাশে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, অতীতের সরকারগুলো সংকটকালে সাংবাদিকদের পাশে এভাবে দাঁড়ায়নি। সাংবাদিকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী একটি ফান্ড গঠন করে দিয়েছেন। এটা কিন্তু অতীতে কেউ চিন্তা করেনি।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর