শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বাড়ছে দুর্নীতি অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

সিন্ডিকেটের বেড়াজালে খুলনায় স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ চুরি, রোগীর পথ্য সরবরাহে সিন্ডিকেট, চিকিৎসকদের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানি-প্যাথলজির আঁতাত, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) করোনার নমুনা পরীক্ষার প্রায় আড়াই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ল্যাব ইনচার্জ প্রকাশ কুমার দাস। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের ২ জুলাই থেকে বিদেশগামী ও স্থানীয়দের করোনা নমুনা পরীক্ষায় ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা গরমিল রয়েছে। এর আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ আবু নাসের হাসপাতালে সরকারি ওষুধ চুরির একাধিক অভিযোগ ওঠে নার্স ও ফার্মাসিস্টদের বিরুদ্ধে। এসব দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য খাতের রাঘববোয়ালরা জড়িত থাকলেও তাদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের স্টেনোগ্রাফার ফরিদ আহমেদ ও তার স্ত্রী পলি আহমেদকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে বদলি, প্রমোশন, নিয়োগ বাণিজ্যে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তারা থেকে যান আড়ালে।

দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান জানান, ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর ফরিদ আহমেদ মোল্লা ও তার স্ত্রীর নামে আয়বহির্ভূত ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার ২০৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এদিকে একই সময় আউটসোর্সিং নিয়োগে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিসে দুদক অভিযান চালালেও অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, মূলত শীর্ষ কর্মকর্তারাই দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়ে গোপনে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

জানা যায়, করোনার নমুনা পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসকে একক দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। তার পরও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হলে তদন্তের নামে সময় ক্ষেপণ ও প্রশাসনকে না জানিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দুদক খুলনার উপপরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘সিভিল সার্জনের লিখিত অভিযোগটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমতি এলে মামলা করা হবে।’

সর্বশেষ খবর