তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উদ্দেশ্য বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ভালো করা নয়। বিএনপি চায় বেগম জিয়া সবসময় অসুস্থ থাকুক। তাহলে উনারা সবসময় বলতে পারবেন তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। তারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছেন, যা অনভিপ্রেত। গতকাল দুপুরে রাজধানীর বনানীতে একটি অভিজাত হোটেলে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, শনিবার বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নয়াপল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনেসহ বিভিন্ন জায়গায় গণঅনশন করা হয়েছে।
নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে দোকানপাট থেকে খবর যেটি জানা যাচ্ছে, গণঅনশনের সময় সেখানে খাবারের দোকানগুলোতে ভালো বেচা-বিক্রি হয়েছে।
সেখানে অনেক রাজনৈতিক নেতা বক্তব্য রেখেছেন, যাদেরকে মানুষ রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মনে করে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন শুধু বিনোদন বা সংবাদের জন্যই নয়, টেলিভিশন জীবন, সমাজ ও দেশ গঠনে কাজ করবে, সেটিই হোক বিশ্ব টেলিভিশন দিবসে আমাদের লক্ষ্য।এটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বৈঠকে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান, একুশে টিভির প্রধান নির্বাহী পীযুষ বন্দোপাধ্যায় ও মাছরাঙা টিভির বার্তাপ্রধান রেজওয়ানুল হক রাজা বক্তব্য রাখেন। এটকোর পরিচালকবৃন্দ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলসহ জ্যেষ্ঠ টিভি সাংবাদিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে আগে একটি টেলিভিশন ছিল। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু করেছিলেন। আজকে একে একে ৩৪টি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, আরও কয়েকটি প্রস্তুতি নিচ্ছে, ৪৫টির লাইসেন্স দেওয়া আছে। সাংবাদিক, কলাকুশলী ছাড়াও টেলিভিশন শিল্পে সবমিলিয়ে প্রায় লাখখানেক মানুষ যুক্ত। আরও অনেকেই কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন বানায় ও বিক্রি করে। প্রায় ৫ কোটি বাড়িতে টেলিভিশন আছে। প্রচ- ব্যস্ত মানুষটিও একটি সময় একটু হলেও টেলিভিশন দেখেন, আমিও দেখি। সবকিছু দেখার সময়-সুযোগ হয় না, খবর দেখি।