শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার হার ৫০ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার  হার ৫০ শতাংশ

পার্বত্যাঞ্চলে শিক্ষার হার বেড়েছে। বর্তমানে সেখানে শিক্ষার হার প্রায় ৫০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আগে শিক্ষার হার অনেক কম ছিল। এখন ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। আমরা শিক্ষা খাতে এগিয়ে যাচ্ছি। আগে স্কুল-কলেজ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী অনেক স্কুল-কলেজ করেছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ করা হয়েছে, মেডিকেল কলেজও করা হয়েছে। প্রায় প্রতি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ করা হয়েছে। এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। আগের সরকারগুলো শিক্ষার হারে গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার হার বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমাদের গ্রামগুলো অনেক দূরে পাহাড়ে পাহাড়ে। আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে তাদের কষ্ট কম হবে, এতে শিক্ষার হারও বাড়বে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে-সন্তু লারমার এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি তার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতেই পারেন। সারা বিশ্বে এমন কোনো জায়গা আছে যেখানে সমস্যা থাকে না? সেখানে কোনো কারণে যদি কোনো ঘটনা ঘটেই যায়, সরকার তৎক্ষণাৎ তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে সে এলাকার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তৎপর থাকে।

 কোনো ঘটনা ঘটলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকার তৎপর। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তির আগে এবং আজকের পার্বত্যাঞ্চলের পরিবেশ-পরিস্থিতির আকাশ-পাতাল তফাত। যত দ্রুত আমরা সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারি ততই আমাদের জন্য কল্যাণকর।

মন্ত্রী বলেন, পার্বত্যাঞ্চল দেশের জন্য বোঝা হবে না। বরং পার্বত্যাঞ্চল হবে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদশালী। সব ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে সমৃদ্ধিশালী দেশের স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবায়নের জন্য পার্বত্যাঞ্চলের সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালী করবে।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির দুই যুগ পূর্তিতে বরিশালে সমাবেশ ও র‌্যালি :    বরিশাল নগরীতে গতকাল বিশাল সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ যিনি বর্তমানে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তারই নিজ জেলা বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে বিকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ  কে এম জাহাঙ্গীর।

সমাবেশে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, পাহাড়ে শান্তি ফিরুক বিএনপি তা কখনই চায়নি। তারা পাহাড়ি আর বাঙালির মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রেখেছিল। তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এখন রাষ্ট্র দখলের চেষ্টা করছে। নাছিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অশান্তির রাজনীতি করলে তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেতারা বিদেশ থেকে অনেক বড় বড় ডাক্তার আনতে পারতেন। কিন্তু তারা সেই চেষ্টা করছেন না। উনারা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কে কার চাইতে বড় নেতা হবেন সেই দেনদরবারে ব্যস্ত।

সমাবেশ উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ। সঞ্চালনা করেন গোলাম সরোয়ার রাজীব। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু, মো. আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এবং ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এ ছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, মহানগরের সহসভাপতি সাবেক এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, সহসভাপতি চেম্বার সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর