রবিবার, ২২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

জুনে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখবে : কাদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

জুনে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখবে : কাদের

পদ্মা সেতুসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সাফল্যের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। জুন মাসের চন্দ্রালোকিত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ চাঁদ দেখতে পাবে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গতকাল ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আগামীকাল নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী) সামারি (সারসংক্ষেপ) পাঠাব। তিনি যে সময় নির্ধারণ করে দেবেন, আমরা সে সময় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করব। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি বলেন,  দেশে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ আরও অনেক প্রকল্প হচ্ছে। জাতিকে শেখ হাসিনা আর কত দেবেন? আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ১৯৭৫ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে সৎ এবং সাহসী নেতা, দক্ষ প্রশাসক আর সফল কূটনৈতিক হলেন শেখ হাসিনা।

১৩ বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ মিলিয়ে দেখেন। শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ ভালো থাকলে মির্জা ফখরুলের মন খারাপ হয়। পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, কর্ণফুলী টানেলও হয়ে গেছে। মেট্রোরেল হয়ে যাচ্ছে। বিএনপির জ্বালা! এ এক মধুর জ্বালা। শেখ হাসিনা সব করে ফেলল। আমরা কিছুই পারলাম না। নির্বাচন আসছে। কী দেখিয়ে ভোট চাইবেন? নেতাটা কে? পলাতক, দন্ডিত তারেক রহমান? প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, দন্ডিত ব্যক্তি?’।

সভায় বিএনপি বঙ্গোপসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল কথায় কথায় বলেন, বাংলাদেশে কথা বলার অধিকার নেই। ফখরুল সাহেব, আপনার মুখ কেউ বন্ধ করেনি। আপনি কথা বলেন এবং অনেক বেশি বলেন, যে কথাগুলোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগে তখন ঐক্যের সংকট ছিল, দলের ভিতরে নানা অন্তর্ঘাত ছিল এবং সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এই দলকে বিভক্ত করার জন্য নানা চেষ্টা করছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী আলোচনা সভায় অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর