বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

কুমিল্লা ও লাকসাম প্রতিনিধি

বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূঁঁইয়া (৬৭)-কে গতকাল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। জানাজার আগে সকাল ৯টায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার গোহারুয়া ভূঁইয়াবাড়ী নুরানি মাদরাসা মাঠে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। নামাজে জানাজায় বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা জসিম উদ্দিন মজুমদার। জানাজায় মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়ার রুহের মাগফিরাতের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন তাঁর ভাই বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম। জানাজায় শরিক হন, দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আবুল মালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ছাদেক হোসেন, অধ্যক্ষ নুরুল্লাহ মজুমদার, আবুল খায়ের আবু, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির, মাসুদ রানা ভূঁইয়া, আবদুল ওহাব, সাবেক চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ, কাউন্সিলর শাহ খোরশেদ আলম মজুমদার, জহির উল্লাহ মজুমদার সুমন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নাল আবেদীন রাসেল, যুবলীগ নেতা তৌহিদুর রহমান মজুমদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সুমন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল, লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সোহাগ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আবদুল হক ভূঁইয়া, শহিদুল আলম ভুট্টো, নাছির উদ্দিন মানিক, এনাম ভূঁইয়া, জহিরুল কাইয়ুম মিঠু, কামাল হোসেন মেম্বার, আনিসুর রহমান, রহিম উদ্দিন রনি, মেহেদী হাসান তুষারসহ বিপুলসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।

বাংলাদেশ ইনসুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরির সাবেক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া রাজধানীর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিকালে ইন্তেকাল করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া ১৯৭১ সালে লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক অধ্যয়নকালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বিআইএসএফে চাকরির কারণে তিনি চার দশকের বেশি সময় ধরে রাজধানীর মিরপুরে সপরিবারে বাস করছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে অবসরে যান। তার ছেলে মো. আসিফ কায়সার নাবিল বলেন, ‘বাবার দুটি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিল। সেজন্য ডায়ালাইসিস করতেন। সম্প্রতি ফুসফুসে পানি জমে যায় ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিনের মাথায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর