ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পরিচয় দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন দেওয়ান ইকবাল নামে এক প্রতারক। তিনি ডিবির পোশাক, গাড়িতে পুলিশের স্টিকার, কালো গ্লাস, হ্যান্ডকাফ, রশি, ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখতেন। টার্গেট ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে হ্যান্ডকাফ বা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলতেন। এরপর অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাকে কোথাও ফেলে দিতেন। মতিঝিল, বিমানবন্দর, পূর্বাচলের ৩০০ ফিট রাস্তা, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ছিল তার প্রতারণার স্পট। সম্প্রতি ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ইকবাল। ডিবির গুলশান বিভাগের এসি মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান, গত সোমবার শাহ মোহাম্মদ লিটন নামে এক ভুক্তভোগী ইকবালের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় মঙ্গলবার ওয়ারি এলাকা থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি ওয়্যারলেস, ডিবি জ্যাকেট, একটি কালো গ্লাসের প্রাইভেটকার, গাড়িতে লাগানো পুলিশের স্টিকার, হ্যান্ডকাফ, হাতুড়ি, রশি, পাঁচটি মোবাইল ফোন, লেজার লাইট উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার ভয়ংকর তথ্য উঠে আসে। তাকে আদালতের মাধ্যমে চার দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।
এসি খলিলুর রহমান বলেন, ইকবাল পাঁচজনের একটি প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে টার্গেট খুঁজত ইকবাল। পরে ভুক্তভোগীদের নিজেকে ডিবির কর্মকর্তা পরিচয়ে গাড়িতে তুলে নিত। এরপর তাকে হ্যান্ডকাফ ও রশি দিয়ে বেঁধে জিম্মি করত। ভুক্তভোগীদের প্রচ মারধর করত। এরপর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নগদ টাকা, ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে বা বিকাশের মাধ্যমে টাকা তুলত, স্বজনদের ফোন দিয়ে টাকা আনত। দেড় বছর ধরে ইকবাল প্রতারণা করে আসছিল। পুরান ঢাকার বাসিন্দা ইকবাল উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে এসে নানারকম প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ে।