রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ডিমের আড়তে অভিযান

কারসাজি করে মূল্য বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিমের আড়তে অভিযান

কারসাজি করে ডিমের দাম বৃদ্ধি করায় ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়া থানার বাইপাইলসহ রাজধানীর উত্তরা পূর্ব ও ও পশ্চিম থানার বাজার এলাকার বেশ কিছু আড়তে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে।

ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে দেশব্যাপী অভিযানের অংশ হিসেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর গতকাল এসব অভিযান চালায়। জানা গেছে, প্রতিটি ডিমের ক্রয়মূল্য ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা এবং বিক্রি করা হয়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি ডিমে লাভ করা হয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা করে। এভাবে বুধবার কারসাজি করে বাজারে ডিমের দাম বৃদ্ধি করেন বাইপাইলের আসিফের ডিমের আড়তসহ অনেক আড়তদার। বাধ্য হয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর গতকাল তাদের জরিমানা করে। ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে এ অভিযানে আসিফ ডিমের আড়ত ও এস জে? অ্যাগ্রো ডিমের আড়তকে ১ লাখ টাকা করে এবং ফয়সাল এন্টারপ্রাইজকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিসপ্রধান আবদুল জব্বার মণ্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান। আবদুল জব্বার মণ্ডল জানান, অভিযানের সময় দেখা গেছে ডিম কেনার ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ করা হয়নি, বিক্রির ক্যাশ মেমো প্রদান করা হয়নি, মূল্য তালিকা টানানো নেই, ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে নয় বরং চাহিদা অনুযায়ী ডিমের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে ইত্যাদি।

তিনি জানান, ডিম, মুরগির দাম যৌক্তিক, স্বাভাবিক ও ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় দেশব্যাপী এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে বাইপাইলের ডিমের আড়তে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কাগজপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, ৭ আগস্ট প্রতিটি ডিমের ক্রয়মূল্য ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা এবং ২০ পয়সা লাভে বিক্রি হয়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা দরে। ১৭ আগস্ট প্রতি ডিমে লাভ করা হয়েছে ২ দশমিক ৭০ টাকা। এর মধ্যে ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ ১৩ আগস্ট কাজী ফার্মে উৎপাদিত সব ডিম প্রস্তাবিত দরের চেয়ে বেশি দর হাঁকিয়ে নিলামের মাধ্যমে কিনে অতি মুনাফা লাভের আশায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তার প্রতিষ্ঠান ডিম কেনা ও বেচার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ৩০ জুন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এসব অপরাধে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের সকল প্রকার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) সকাল ১০টায় অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কেন তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার জোহরা মার্কেট ও পূর্ব থানার বিড়িয়ার বাজারে অভিযান চালানো হয়। এ দুই অভিযানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ভোক্তা অধিদফতরের পরিচালক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনজুর শাহরিয়ার জানান।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর