মেঘালয় থেকে বাংলাদেশের সড়ক পথে আসা ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রানজিট কনটেইনার নিয়ে এমভি ট্রান্স সামুদেরা জাহাজটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। গতকাল ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানায়। দুই দেশের মধ্যে চুক্তির কারণে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্যের ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট পরিবহনের খরচ এবং সময় উভয়ই কমবে। এটি বাংলাদেশের লজিস্টিকস এবং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির (বীমা, পরিবহন এবং ফিন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি) জন্য অর্থনৈতিক লাভও সৃষ্টি করবে। কেননা, ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য শুধু বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার করা হবে। কার্গোর এ চলাচল ২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম এবং মোংলাবন্দর ব্যবহার করার চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য ট্রায়াল রানের অংশ। এ ট্রায়াল রান টাটা স্টিল এবং সিজে ডার্কল লজিস্টিকস লিমিটেড ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে পরিচালনা করছে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই হয়েছিল।
এই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল রান ২০২০ সালের জুলাই মাসে সফলভাবে পরিচালিত হয়েছিল। তখন চারটি কনটেইনার, দুটি টিএমটি স্টিল এবং শস্যদানা, কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পাঠানো হয়েছিল।চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে। এগুলো হলো চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুটে।
এ ট্রায়াল রানটি চুক্তির অধীনে সব অনুমোদিত রুটে সব ট্রায়াল রানের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে। মোংলা-তামাবিল-ডাউকি, মোংলা-বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর এবং চট্টগ্রাম-শেওলা-সুতারকান্দি রুটে ট্রায়াল রানগুলো পরিচালিত হয়। ট্রায়াল রানের এই সমাপ্তির পর, চুক্তির অধীনে পণ্যের নিয়মিত চলাচলকে কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থায়ী আদেশ ও বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে এটি একটি অগ্রসর পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।