শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
রসিক নির্বাচন

ছাপাখানার ব্যবসা আশানুরূপ না হওয়ার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে বৃহস্পতিবার। ৮ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৯ ডিসেম্বর দেওয়া হবে প্রতীক। বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে, প্রতীক পাওয়ার আগে প্রার্থীরা ছাপাখানামুখী হয়ে পোস্টার-হ্যান্ডবিল ছাপানোর জন্য আগাম বুকিং করে রাখত। এবার কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পোস্টার-হ্যান্ডবিল ছাপাতে খরচও বাড়বে কয়েকগুণ বেশি। এ সব কারণে প্রার্থীরা এবার কম পোস্টার ছাপাবেন। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে ছাপাখানার ব্যবসা আশানুরূপ না হওয়ার শঙ্কা করছেন মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বছরে ছাপাখানাগুলো ঢিমে তালে চললেও মূলত বিভিন্ন নির্বাচনের সময় তাদের ব্যবসা চলে রমরমা। দফায় দফায় কাগজ, কালি প্লেটের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এ শিল্পটি হুমকির মুখে রয়েছে। কাগজের দর এক বছরে বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বহুল ব্যবহৃত কাগজ ডিমাই সাইজ ৫৫ গ্রাম ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০ টাকায়, ডিএফসি ৫৫ গ্রাম ১ হাজার ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। কাগজের দর বৃদ্ধির কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নির্বাচনী প্রচারে, এমনটাই শঙ্কা করছেন ছাপাখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে কয়েকজন কাউন্সিল প্রার্থী জানান, নির্বাচনী প্রচারে অন্যতম মাধ্যম পোস্টার ছাপাতে এবার কয়েকগুণ বেশি খরচ হবে। তাই তারা নামকাওয়াস্তে ২০০-৩০০ পোস্টার ছাপিয়ে কোনো রকমে নিজের ভোটারদের কাছে জানান দেবেন। পোস্টার-হ্যান্ডবিলের দিকে তারা এবার খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মী পাঠিয়ে ভোট চাইবেন। নগরীর ইরা অফসেট প্রেসের ম্যানেজার আবদুর রাজ্জাক জানান, কাগজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নির্বাচনে। আগে যেখানে প্রার্থীরা হাজার হাজার পোস্টার-হ্যান্ডবিল ছাপাত। এবার হয়ত তারা হাতে গোনা ২০০-৩০০ পোস্টার ছাপাবেন। মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতি রংপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম জুয়েল জানান, কাগজের দাম বাড়ায় অনেক প্রেস মালিক শ্রমিকদের মজুরিসহ মেইনটেন্যান্স খরচ তুলতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। আশা ছিল নির্বাচনের সময় কিছুটা পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর