শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পণ্যমেলা। ১০ দিনব্যাপী এ মেলার আজ শেষ দিন। এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে ৬০ ভাগ নারী এবং ৪০ ভাগ পুরুষ। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কেউ কিনছেন আবার কেউ ঘুরে দেখছেন।
এবারের মেলায় ৩৫১টি স্টলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। জাতীয় এসএমই পণ্যমেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ফ্যাশনশিল্পের ১৩০টি। এ ছাড়া রয়েছে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ৪৫টি, হস্ত ও কারুশিল্পের ৩৮, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৬, পাটজাত পণ্যের ৩৫, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা খাতের আট, হালকা শিল্পপণ্য খাতের ছয়টি, প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠান।
মেলায় অংশ নেওয়া উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে ভিড়ের সঙ্গে বেড়েছে বিক্রি। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলায় আসা ফাহিমা রহমান বলেন, এক ছাদের নিচে সবই পাওয়া যাচ্ছে। বাচ্চারা মেলায় এসে খুবই খুশি। খাবারের আলাদা ব্যবস্থা রাখা আছে। সুন্দর পরিবেশ থাকায় এসেছি, কিছু কেনাকাটাও করেছি। ২৪ নভেম্বর এ মেলা উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ছয়জনকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার দেওয়া হয়। এসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারে ২০১২ সাল থেকে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা আয়োজন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৯টি এসএমই পণ্যমেলায় প্রায় ২ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন।
জাতীয় পর্যায়ে মেলার পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও এসএমই পণ্যমেলা আয়োজন করা হয়।