রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। জনগণ আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আনবে। বিএনপি-জামায়াত জোট ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী দেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রসহ লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তারা দেশে ও বিদেশে বসে সরকারবিরোধী কাজ করে চলেছে। তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, যা এখন জাদুঘরে। এ সময় তারা সংবিধান অনুযায়ী বিএনপিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। আলোচনায় আরও অংশ নেন- সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সাবেক মন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, মীর মোস্তাক আহমদ রবি, শরিফুল ইসলাম শিমুল, তামান্না নূসরাত বুবলী, শামীমা আক্তার খানম, নেছার আহমেদ, মো. ইকবাল হোসেন।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ ছিল। মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকলে ভাতা দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। কোনো ব্যক্তির নতুনভাবে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ডিজিটাল সনদ না পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারবেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের গতকালের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির এমপি সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৬৪টি জেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৩৫২টি ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ৯৫ হাজার ২৪৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সমন্বিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ আদেশ, ২০২০’-এর নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পেতে হলে ওই আদেশের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা’ হিসেবে বর্ণিত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রক্ষিত ৩৩ (তেত্রিশ) ধরনের প্রমাণকের মধ্যে যে কোনো একটি প্রমাণকের নাম থাকতে হবে। এ ছাড়া ওই আদেশের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বা সুবিধাভোগী ‘ফরম’ অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করতে হবে। বর্ণিত আবেদন যাচাই-বাছাই কমিটি ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘আবেদন যাচাই-বাছাই পদ্ধতি’ অনুসরণ করে চূড়ান্ত সুপারিশসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠালে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পাবেন। এদিকে স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য একই বেতন-ভাতা, সুবিধাদি নির্ধারণসহ ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি, ফৌজদারি মামলায় দি ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি, অবসর সুবিধার ক্ষেত্রে সমান সুবিধা দেওয়ার বিধান রেখে সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল, ২০২৩ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।