রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ই-অরেঞ্জের সোহেল রানার ভারতে সাজা

হাই কোর্টে প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ই-অরেঞ্জের অর্থ আত্মসাতের হোতা ঢাকার বনানী থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা ভারতে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে আলীপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনের মাধ্যেম হাই কোর্টকে  জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেন, মো. আরাফাত আলী, মো. তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো. হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামের ছয়জন গ্রাহক গত বছরের মার্চ মাসে হাই কোর্টে রিট দায়ের করেন। পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৭ এপ্রিল রুল জারি করা হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাই কোর্ট।

রুলে গ্রাহকদের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাথে সম্পৃক্ত বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, সত্ত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গ্রাহক ঠকানো, অর্থপাচারের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিবাদিদের ব্যর্থতা ও নিস্ক্রীয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে সোহেল রানা, সত্ত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতি অনুপাতে আবেদনকারীসহ অন্যান্য প্রতারিত গ্রাহকদের মাঝে সে টাকা বন্টন বা বিতরণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। এরপর ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২ নভেম্বর হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে বিএফআইইউ।

তবে ওই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হতে না হওয়ায় পরদিন  গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানা জড়িতদের বিষয়ে নতুন করে বিএফআইইউ, দুদক, পুলিশ প্রধানকে রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট । অভিযোগের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে তাদেরকে যথাযথভাবে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি শত শত কোটি টাকার যে লেনদেন হয়েছে, তার থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে কিনা তা জানাতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট । এছাড়াও ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবীনের ভাই বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারস।

এদিকে, গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানাকে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। পরে ৫ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর