সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মৌসুমের আগেই উৎপাদন সবজি চারা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

মৌসুমের আগেই উৎপাদন সবজি চারা

বিশেষ পদ্ধতি কোকোপিটের সাহায্যে মিডিয়া দ্বারা তৈরি ভাইরাসমুক্ত সব মৌসুমের সবজি চারা উৎপাদন করা হয়েছে দিনাজপুরে। জেলায় এখন গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের প্রস্তুতি চলছে। জমি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে ছয় শতক জমিতে সবজির চারা উৎপন্ন করছেন স্থানীয় কৃষক ইয়াসিন আরাফাত। মৌসুমের আগেই তিনি সবজির চারা উৎপাদন এবং বিক্রি করতে গড়ে তুলেছেন সবজি নার্সারি। বর্তমানে তিনি ১ হাজার ট্রে-তে ১ লাখ টমেটো চারা উৎপাদন করছেন। কিছু দিনের মধ্যে এসব চারা কৃষকরা নিয়ে যাবেন। কারণ ফাল্গুনের মধ্যে এসব টমেটো চারা রোপণ করতে হবে। কোকোপিট উচ্চ বাফার ক্ষমতাসম্পন্ন জৈব পদার্থ যা মাটির গুণাগুণ বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। কোকোপিটের পিএইচ (pH)) সবসময় ৫.৫ থেকে ৭ থাকে যা সুস্থ উদ্ভিদ তৈরিতে এবং খুব সহজেই উন্নতমানের গাছপালা তৈরিতে সাহায্য করে। কোকোপিট দিয়ে যে কোনো প্রকার চারা তৈরি বা গাছ লাগানো যেতে পারে। ইয়াসিন আরাফাত জানান, চারা তৈরির জন্য ৬০০টি ট্রে, কোকোপিট (নারিকেলের ছোবলার পচানো গুঁড়া) শুরু করেন। কোকোপিট ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। একই ট্রে এবং নেট কয়েক বছর চলে যায়। বার বার কিনতে হয় না। এ পর্যন্ত ১০০ জন কৃষক তার কাছে চারা কিনেছেন। এখন বেগুন, মরিচ, পেঁপে, টমেটো, ফুলকপিসহ নানা ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করাও হয়। মৌসুমের আগেই চারা উৎপন্ন করে বিক্রি করা যায়। এতে ভালো দাম পাওয়া যায়। অনেক কৃষক আগাম সবজির চারা কেনার জন্য অর্ডার দিচ্ছে। চাহিদা বাড়ছে।

কৃষকরা এসব আগাম চারা নিয়ে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।

তিনি জানান, প্রতিটি টমেটো চারা দেড় টাকা দরে কৃষকের কাছে বিক্রি করেন এবং তার প্রতিটি চারায় খরচ পড়েছে ১ টাকা। প্রতি ট্রেতে ১০০ চারা থাকে। প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। এ ছাড়া তার নার্সারিতে আম, লিচুসহ বিভিন্ন সবজির চারা উৎপন্ন ও বিক্রি করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর