সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

১৭ বছর আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি হত্যা মামলার আসামির

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

নিহতের পরিচয় শনাক্ত যেন না হয় সেজন্য হত্যার পর মানিকগঞ্জে দেহ এবং টাঙ্গাইলে মাথা ফেলে রাখেন আসামিরা। ২০০৬ সালে এমন রোমহর্ষক হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জাতীয় পরিচয়পত্র বদলিয়ে পালিয়ে ছিলেন ১৭ বছর। এরপরও হয়নি শেষ রক্ষা। শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলার বহেরার চালা থেকে আসামি আবদুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৪। গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া বাইপাস এলাকায় র‌্যাব-১৪ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বেতুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামকে (৩৪) হত্যা করে সেখানে দেহ এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুরে খি ত মাথা রাখেন আসামিরা। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩১ মে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় তদন্ত শেষে কর্মকর্তা সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন। এই মামলায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি আবদুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ  ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

তিনি আরও জানান, শহিদুল ইসলাম ২০০৪ সালে ধামরাই উপজেলার গোয়াড়ীপাড়ায় ‘বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।

এক সময় তাদের একাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশ কিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটির লোভে আসামিরা শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী আব্দুল কুদ্দুসসহ অন্য আসামিরা শহিদুল ইসলামের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তাকে পাত্রী দেখানোর কথা বলে মানিকগঞ্জে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাজা মিয়া, সাহেদ, কুদ্দুস ও বিষ্ণু সুইপার রশি দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শহিদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর শহিদুলের গলা কেটে দেহ মানিকগঞ্জে রেখে মাথা টাঙ্গাইলে নিয়ে ফেলে দেয়।

মহিবুল ইসলাম খান বলেন, আসামি আব্দুল কুদ্দুস পালিয়ে থাকা অবস্থায় নিজের মামাত ভাইয়ের নাম, ঠিকানা ব্যবহার করে আইডি কার্ড বানিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর এলাকায় এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর