যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীরকে খালাস দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়টি ভাষাশহীদদের সম্মানে বাংলা ভাষায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়, আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীরের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হলো। আদালতে আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। জানা গেছে, ২০১১ সালে যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর বাবুপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে আবদুল্লাহর সঙ্গে একই উপজেলার মোবারককাটি গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে সালমা খাতুনের বিয়ে হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল দাবি করেন আবদুল্লাহ। দাবি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি স্ত্রীকে নির্যাতন করা শুরু করেন। ২০১২ সালের ৯ জুলাই ভোরে মারধরের পর তিনি গায়ে কেরোসিন দিয়ে স্ত্রী সালমাকে পুড়িয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত সালমার বাবা বাদী হয়ে আবদুল্লাহ, তার বাবা, মা ও ভাইকে আসামি করে মামলা করেন।
২০১৭ সালের ১৭ মে এ মামলায় রায় দেন যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে আবদুল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ফাঁসির রায় থেকে খালাস চেয়ে তিনি হাই কোর্টে আপিল করেন।
