মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বরিশালে দূর হচ্ছে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের ‘জঞ্জাল’

৭ মার্চ থেকে মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ

রাহাত খান, বরিশাল

সড়ক পথে বরিশালের ‘জঞ্জাল’ নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাত্রী টানাটানি, দালাল চক্রের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, মহাসড়কের পাশে অলস বাস দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি এবং অতিরিক্ত গতিতে বাস চলাচলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। তিনি এখন থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা মাত্রই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। এদিকে এরই মধ্যে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় স্থায়ীভাবে যানজট নিরসনে কাশীপুর পোস্ট অফিস থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি ওয়ানওয়ে করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ ওয়ানওয়ে কাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র। ওই সড়কের খানাখন্দ সংস্কার এবং অপ্রয়োজনীয় বিশাল রোড ডিভাইডার ভেঙে ছোট করতে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র এবং পুলিশ কমিশনার। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জানজটের কারণ এবং টার্মিনালে যাত্রী অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির চিত্র খুঁজে বের করেছে পুলিশ। টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি জানজট নিরসনে গতকাল দুপুরে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হলরুমে সড়ক বিভাগ, বিআরটিএ এবং বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদেরকে নিয়ে মতবিনিময় করেন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। শুরুতে মহাসড়কে বেপরোয়া বাস চালিয়ে দুর্ঘটনায় মানুষ হত্যার বিষয়ে সাকুরা পরিবহন এবং হানিফ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষকে কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করেন তিনি। পুলিশ কমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এখন থেকে টার্মিনালের সামনের সড়কে কোনো বাস দাঁড়াতে পারবে না। কুয়াকাটা-বরিশাল-ঢাকা রুটের বাসগুলো নথুল্লবাদের মূল সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। কাশীপুর থেকে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত মূল সড়কের পাশের সাইড লেনে কোনো বাস থাকতে পারবে না। যাত্রী তার পছন্দের পরিবহনে চলাচল করবেন। কোনো যাত্রীকে বাধ্য করা যাবে না বা টানাটানি করে যাত্রীদের নাজেহাল করা যাবে না।

জানা গেছে, বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জনস্বার্থে পুলিশ কমিশনারের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। পুলিশ কমিশনার কাশীপুর পোস্ট অফিস পয়েন্ট থেকে টার্নিমালমুখী বাসগুলোকে পাশের সাইড লেন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তবে সুশৃঙ্খলভাবে বাস চলতে মূল সড়কের পাশের লেনটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সভায় উপস্থিত মেয়র এবং সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিএমপি কমিশনার। মেয়র এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জনস্বার্থে মূল সড়কের পাশের লেনটি দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার প্রতিশ্রুতি দেন।

সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ জানান, নগরীর প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপার থেকে দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মহাসড়ক সম্প্রসারণে ৫২ কোটি টাকার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে ৭ মার্চ ওই কাজ শুরু হবে।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর