রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

১০ বছর পর উন্মোচন অপহরণের রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

১০ বছর আগে মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন পটিয়ার তিলক শীল। এ ঘটনার ছয়জন গ্রেফতার হয়ে হাজতবাসও করেন। মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার পর আদালতে বিচারকার্যও শুরু হয়। কথিত ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য বাদী আদালতে আবেদন করলে উদ্ধারের দায়িত্ব পায় পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো। আদেশ পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে গিয়ে পিবিআই জানতে পারে রূপা শীল অপহরণ নয়, বরং পালিয়ে গেছেন এক ছেলের সঙ্গে।

 তার পরিবার এটাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে করে মামলা। অতঃপর গত শুক্রবার নোয়াখালীর সুধারাম থেকে রূপাকে উদ্ধারের পর উন্মোচন হয় কথিত অপহরণের আসল রহস্য।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে পিবিআই। কিন্তু বাদীপক্ষের উদাসীন আচরণ ও অসহযোগিতার কারণে ভালোভাবে কাজ করতে পারছিলেন না তদন্ত কর্মকর্তা। তখন তাদের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এক সময় দেখা যায় পরিবারের সঙ্গে কথিত অপহৃত রূপা শীলের যোগাযোগ রয়েছে। পরে নোয়াখালীর সুধারাম থেকে রূপাকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, রূপার সঙ্গে রনি নামে এক যুবকের প্রেম ছিল। রনির সঙ্গে রূপা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে বসবাস শুরু করে। রূপার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবগত ছিলেন বাদী ও তার পরিবার। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এটাকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে কাজে লাগায়। আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে। ২০১৫ সালে রনির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় রূপার। ২০১৮ সালে টিপু তালুকদার নামে আরেকজন যুবককে বিয়ে করেন রূপা। তাদের এক পুত্রসন্তান রয়েছে।

পিবিআই জানায়, ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পটিয়া উপজেলার তিলক শীল নামে এক ব্যক্তি তার মেয়ে রূপা শীলকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু আদালত মামলাটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিএমএম আদালতে প্রেরণ করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক ফরিদ আলম ঘটনা সত্য এমন প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত বিচারকার্য শুরু করেন। এরই মধ্যে আসামিরা হাজতবাস করেন। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর বাদী ভিকটিমকে উদ্ধারের আবেদন করেন আদালতে।

সর্বশেষ খবর