বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

এখনো ফিরছে মানুষ রাস্তায় নেই যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখনো ফিরছে মানুষ রাস্তায় নেই যানজট

ঈদের চার দিন পরও রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। ঢাকা সদরঘাট থেকে গতকাল তোলা ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদের পঞ্চম দিন গতকাল ঢাকার রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা ছিল। রাস্তায় নেই যানজট। মানুষ নির্বিঘ্নে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে এখনো ঢাকা ফিরছে মানুষ। একই সঙ্গে ঢাকায় মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় বায়ুর মান এখন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে শান্তির শহর ঢাকা।

ঈদের পঞ্চম দিনেও রাজধানী ঢাকার সড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। বেশির ভাগ সড়কই ছিল ফাঁকা। যানজটহীন সড়কে যানবাহন চলছে বেশ দ্রুতগতিতে। ফলে ফাঁকা ঢাকায় তুলনামূলক কম সময়ে যাত্রীরা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। তবে বিজয় সরণি মোড়ের চিত্রটা ছিল ভিন্ন। স্বাভাবিক দিনের মতোই সেখানে সকাল থেকে গাড়ির চাপ দেখা গেছে। গত সোমবার সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত খোলা হয়। কিন্তু ঈদ শেষে এখনো গ্রাম থেকে সবার ঢাকায় ফেরা হয়নি। অনেকেই বাড়তি ছুটি নিয়ে ঈদের চতুর্থ-পঞ্চম দিনে ঢাকায় ফিরছেন। ফলে এখনো নগরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। আগামী রবিবার চিরচেনা রূপে ফিরবে ঢাকা- এমন ধারণা সংশ্লিষ্টদের। গতকাল সরেজমিনে মহাখালী, নাবিস্কো, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, মগবাজার, কাকরাইল, শান্তিনগর, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশানসহ রাজধানীর অধিকাংশ স্থানে তেমন যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। বিজয় সরণি মোড়ে উবারচালক মহিউদ্দিন বলেন, ‘এবার ঈদের দুই দিন আগেই ঢাকা ফাঁকা হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোথাও যানজট তৈরি হয়নি। যাত্রী নিয়ে অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি। এতে গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। বছরজুড়ে যদি ঢাকা এমন ফাঁকা থাকত, কতই না ভালো হতো।’

গুলশান-১-এ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশ সদস্য ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, ঈদ উদযাপন করতে যারা গ্রামে গেছেন, তাদের অধিকাংশই এখনো ফেরেননি। আগামী শনি ও রবিবার ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়বে। এদিকে ঢাকার আকাশের বায়ুর মান এখন সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে।

 গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান ১৩তম। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে এখনো ঢাকা ফিরছে মানুষ। রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ঈশিতা বলেন, ‘পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আগে আগেই চলে আসতে হলো। গতকাল রাত ১১টায় পাবনা থেকে ছেড়ে আসা বাস ভোরে ঢাকায় পৌঁছেছে। রাস্তায় কোথাও তেমন যানজট না থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে আসতে পেরেছি।’

রফিকুল ইসলাম পুরো পরিবার নিয়ে গতকাল ভোরে রওনা দেন সাতক্ষীরা থেকে। সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছান। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি ছিল পাঁচ দিন। আরও তিন দিন বাড়িয়ে নিয়েছিলাম। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে অফিস করব।’

গতকাল সকালে সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো একের পর এক ভিড়তে থাকে। সরেজমিনে লঞ্চগুলোয় বেশ ভিড় দেখা গেছে। লঞ্চে যাত্রীচাপ অন্য সময়ের তুলনায় বেশি ছিল। তবে লঞ্চগুলোও নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে এসেছে; সদরঘাটেও পৌঁছেছে নির্ধারিত সময়ে। আর ট্রেনে করেও ফিরছেন অনেক যাত্রী। তবে কমলাপুরে সকালের ট্রেনগুলো কিছুটা বিলম্বে পৌঁছাচ্ছে। ট্রেনগুলোয় কিছুটা ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবু সব মিলিয়ে যাত্রীরা বলছেন, এবার ঈদে ট্রেনে যাতায়াত অন্য সময়ের তুলনায় স্বস্তির ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর