বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘ভুয়া’ জন্মদিন উদযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগ এনে করা মানহানির দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য ধার্য দিনে খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। পরে আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ দিন নির্ধারণ করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজাকার-আলবদর নেতা-কর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
পরের বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জন্মদিন উদযাপন মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।