বুধবার, ১০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

৯০০ কোটি টাকার মরিচ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

৯০০ কোটি টাকার মরিচ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা

পঞ্চগড়ের মরিচচাষিরা এ বছর ২৪ হাজার মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন করবে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই মরিচ তোলা শুরু করেছেন চাষিরা। ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ করে ফলন কম পেলেও ভালো দাম পেয়ে খুশি তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে আবহাওয়া অনুকূলে এলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। শুকনো মরিচকে পঞ্চগড়ে বলা হয় ‘লাল সোনা’। সমতলের বেলে দোআঁশ মাটি আর কৃষি উপযোগী আবহাওয়ার কারণে পঞ্চগড়ে মরিচ, ভুট্টা, পাট, বাদাম, টমেটো, চাসহ নানারকম অর্থকরী ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করেছি। এবার খরা গেছে। তাই ফলন কম। বৃষ্টি হলে ফলন বাড়বে। গত বছর বিঘায় ২০ মণ শুকনো মরিচ পেয়েছিলাম। এবার পাচ্ছি ১০ মণ। তবে ফলন কম হলেও দাম গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। তাই পোষাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা খোঁজ নেন না। তারা সঠিক পরামর্শ দিলে আরও উৎপাদন বাড়ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর মরিচের চাহিদা অনেক বেশি। ‘লাল সোনা’খ্যাত এই মরিচ রপ্তানি হচ্ছে সারা দেশে। এ বছর মরিচের রোগবালাই কম হওয়ার কারণে শুকনো মরিচের গুণগত মান অনেক ভালো। তাই বাজারে অনেক চাহিদা। ব্যবসায়ী রুবেল হক জানান, প্রতিদিন মরিচ রপ্তানি হচ্ছে। এবার সারা দেশে চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি মণ মরিচ কৃষকদের কাছ থেকে ১২-১৩ হাজার টাকায় ক্রয় করছি। কেজিতে ২-৩ টাকা লাভ হয়। পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এ জেলা কৃষিতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় জেলা। বাজারে মরিচের অনেক চাহিদা রয়েছে। গত বছর চাষিরা অনেক দাম পেয়েছে, এবারও চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছে। এ বছর ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার মেট্রিক টন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর