লালমনিরহাটের পাটগ্রামে গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যায় ঘাতক স্বামীকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করেছেন রংপুরে র্যাব-১৩ এর সদস্যরা। গতকাল দুপুরে র্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। র্যাব জানায়, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলার মুগলিবাড়ী গ্রামে স্বামী মো. দুলাল হোসেন (৪১) ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী সাহিদা বেগমকে (৩৬) হত্যা করে। সাহিদা বেগমের সঙ্গে ওসমান গনির ছেলে মো. দুলাল হোসেনের ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এ ছাড়াও কারণে-অকারণে সন্দেহ ও ছোটখাটো বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।
১৫ এপ্রিল সাহিদা বেগম নিজ এলাকায় ছাগল চড়িয়ে বাড়িতে এলে ছাগল চড়ানোকে কেন্দ্র করে বিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে দুলাল ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করেন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ১৬ এপ্রিল নিহতের ভাই পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার শান্তাহার থেকে হত্যা মামলার একমাত্র ও প্রধান আসামি স্বামী মো. দুলাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করেন যে, সাহিদা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করেছেন। আসামিকে পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।