সোমবার, ২২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরকারি খাদ্য গুদাম নেই

ধান সংগ্রহ মৌসুমে বিপাকে কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। এলাকায় বোরো ধান উৎপাদনে জড়িত রয়েছেন ১২-১৪ হাজার কৃষক। কিন্তু উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদাম না থাকায় খাদ্য অধিদফতরের ধান সংগ্রহ অভিযানের সুফল পাচ্ছে না কৃষক।

জানা যায়, এখানে সরকারি গুদাম না থাকায় ধান বিক্রি করতে কৃষকদের প্রায় ১২-১৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ফুলতলা উপজেলা খাদ্য গুদাম পর্যন্ত যেতে হয়। এতে যাতায়াতের খরচসহ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান মারুফুর রহমান বলেন, অনেক সময় কৃষক ভোগান্তি এড়াতে কম মূল্যে বাড়িতে বসে ধান বিক্রি করে দেয়। এতে আর্থিক ক্ষতিতে পড়ে তারা। বাড়িতে ধান বিক্রি করলে মণপ্রতি পাওয়া যায় ৯০০-৯৫০ টাকা। কিন্তু সরকারি গুদামে বিক্রি করতে পারলে মণপ্রতি ১২০০ টাকা পাওয়া যায়। এদিকে গতকাল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে সুবিধাজনক স্থানে বোরো ধান সংগ্রহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।

জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে ভৈরব নদের তীরে সরকারি খাস জমিতে খাদ্য গুদাম করার প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

উপজেলা চেয়ারম্যান মারুফুর রহমান বলেন, এখানে বড় অডিটরিয়াম আছে। খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা সেখানে এলে কৃষকরা ধান নিয়ে আসবে। ওই ধান এখান থেকে সংগ্রহ করে ট্রাকে ফুলতলা খাদ্য গুদামে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে একটি ট্রাকে ৫০০ মণ ধান নেওয়া সম্ভব হলে কৃষকরা কম যাতায়াত খরচ দিয়ে ধান বিক্রি করতে পারবেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন সভায় জানান, খুলনা জেলায় এবার বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন, যার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন। চলমান আউশ মৌসুমে জেলার ৩ হাজার ৮১৬ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ধানের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে আগামী আমন মৌসুমে জেলার ৯ হাজার কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর