সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে তৃণমূলে চিকিৎসক-নার্স সংকট

চিকিৎসা না পাওয়ায় ঘটছে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা, অনুমোদিত পদ ৪৯৬, কর্মরত ৪০৫

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা চলছে চিকিৎসক ও নার্সের সংকট নিয়ে। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের। কখনো চিকিৎসা না পাওয়া, কখনো অতিরিক্ত ভিড়ে মুমূর্ষু রোগীর সংকটাপন্ন অবস্থা তৈরি হওয়া এবং চিকিৎসা না পেয়ে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটছে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ১৫ উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ আছে মোট ৪৯৬টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৪০৫ জন চিকিৎসক। ৯১ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য। এ ছাড়া এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নার্সের অনুমোদিত পদ আছে ৫৯২টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৪৭৩ জন। ১১৯টি পদ শূন্য। ১৩ মে তথ্যটি প্রকাশ করা হয়। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ‘চিকিৎসক ও নার্স সংকটের বিষয়টি পুরনো। তবে বিদ্যমান জনবল দিয়েও আমরা প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া জনবল নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার সময় অনুসারে হাসপাতালগুলোতে জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।’ জানা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অনুমোদিত ৩২টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৫ জন এবং ৪১ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩১ জন। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অনুমোদিত ৩৯টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩৫ জন এবং ৪০ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩২ জন। বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অনুমোদিত ৩৫টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৭ জন এবং ৩৮ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩৩ জন। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অনুমোদিত ৩৬টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩০ জন এবং ৪১ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩৬ জন। লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অনুমোদিত ৩০টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৫ জন এবং ৩৯ জন নার্সের মধ্যে আছেন ২৬ জন। বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৬ জন এবং ৪১ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩১ জন। রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৭ জন নার্সের মধ্যে আছেন ২৮ জন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৬ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩৬ জন এবং ৪২ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩৪ জন। হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৫ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৮ জন এবং ৪০ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩৫ জন। চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৭ জন এবং ৪০ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩২ জন। সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩২ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৮ জন এবং ৩৪ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩৩ জন। সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৬ জন এবং ৩৭ জন নার্সের মধ্যে আছেন ৩২ জন। সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৩ জন চিকিৎসকের কর্মরত আছেন ১৬ জন এবং ৩১ জন নার্সের মধ্যে আছেন ১৮ জন। কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন সাতজন এবং সাতজন নার্সের মধ্যে কেউ নেই। দোহাজারী ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে আছেন পাঁচজন এবং সাতজন নার্সের মধ্যে আছেন পাঁচজন। সন্দ্বীপ ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চারজন নার্সের মধ্যে আছেন দুজন। সন্দ্বীপ হারামিয়া ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ছয়জন চিকিৎসকের মধ্যে আছেন দুুজন এবং ছয়জন নার্সের মধ্যে আছেন দুজন। ফটিকছড়ি বিবিরহাট ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সাতজন নার্সের মধ্যে আছেন তিনজন। রাউজান সুলতানপুর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ২৫ জন নার্সের মধ্যে আছেন ২০ জন। এভাবে চিকিৎসক ও নার্স সংকট নিয়ে চলছে চট্টগ্রামের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর