মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মে মাসে পোশাক রপ্তানির আয় ১.৮৯ শতাংশ কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে মাসে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এ সময় এই খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। এতে দেখা যায়, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ আয় কম হয়েছে। কিন্তু এ সময় প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এতে দেখা যায় তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। চলতি ১১ মাসে পোশাক রপ্তানি খাতে অর্জিত হয়েছে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর (২০২১-২২) জুলাই-মে সময়ে আয় হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে চলতি বছরের জুলাই-মে সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ওভেন পোশাক খাতে ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর নিটওয়্যার পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। যেখানে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এটা আসলে স্বাভাবিক না। এটার বেশ কিছু কারণ আছে। এপ্রিলে ঈদ হওয়ায় এমনটি দেখা গেছে। ঈদের মাসে কর্মদিবস কম হলে কিছু রপ্তানি পরের মাসে যোগ হয়। এ বছরের যে লক্ষ্যমাত্রা, খুব ভয়ংকর কিছু না ঘটলে আমরা সেটি অর্জন করতে পারব। তবে এর মানে কিন্তু এই না যে আমাদের ক্রয়াদেশ প্রচুর আছে বা প্রচুর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বিষয়টি তেমনও নয়। কারণ, বৈশ্বিক একটি অর্থনৈতিক খারাপ সময় যাচ্ছে। যেটা হচ্ছে ক্রেতারা সতর্কভাবে ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। তারা স্টক দেখছে। তবে আশা করছি সামনের বছরগুলোয় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর