ভারত থেকে আমদানি শুরুর পর খাতুনগঞ্জে এখন ২০ টাকা দামেও পিঁয়াজ মিলছে। মানভেদে গতকাল ২০ টাকা থেকে ৪২ টাকা দামে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। এতে অসাধু মজুদদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এখন লোকসান দিয়েও তারা এর ক্রেতা পাচ্ছেন না, বাজার সূত্রে জানা গেছে। কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় কিছুদিন কৃষি বিভাগ পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে। এ সুযোগে অসাধু মজুদদারদের যোগসাজশে প্রতি কেজি পিঁয়াজ ৯০ টাকায় পৌঁছায়। খাতুনগঞ্জে শনিবার ৭৫ টাকা থেকে এক লাফে ৯০ টাকা হয়ে যায় প্রতি কেজি। আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে সোমবার তা ৬০ টাকায় নেমে আসে। এর মধ্যে সোম ও মঙ্গলবার ৪ লাখ টনের বেশি পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি বিভাগ। দিনাজপুরের হিলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ট্রাকে ট্রাকে ভারতীয় পিঁয়াজ দেশে ঢুকতে শুরু করেছে। আমদানি করা এসব পিঁয়াজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রামের বাজারে আসতে শুরু করেছে। মূলত এরপর থেকে পিঁয়াজের বাজার সাধারণের নাগালে আসতে শুরু করেছে। তবে এরপর দেশি পিঁয়াজের মজুদদার ও ব্যাপারীরা এখন লোকসানের মুখে পড়ছেন। খাতুনগঞ্জের ইরা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, গতকাল ভালো মানের ভারতীয় পিঁয়াজ ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে মানভেদে প্রতি কেজি ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশে আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে ভারতের অনেক রপ্তানিকারক আগে থেকে পিঁয়াজ প্রস্তুত করে স্থলবন্দরগুলোতে এনে রেখেছিলেন। সেগুলো দেশের বাজারে আসতে কিছুটা ভিজে যাচ্ছে। এসব পিঁয়াজ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
আরেকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মুহাম্মদ ইদ্রিস জানান, গরমে যেসব পিঁয়াজ কিছুটা পচে যাচ্ছে, সেগুলো ২০-২২ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে রেস্টুরেন্ট কিংবা নানা অনুষ্ঠানের জন্য এসব পিঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ভ্যানগাড়িতে করে বিক্রির জন্য অনেক হকারও এসব পিঁয়াজ কিনছেন। নিম্নআয়ের মানুষ এসব পিঁয়াজ কিনতে পারছেন।
চট্টগ্রামের একটি রেস্টুরেন্টের জন্য পিঁয়াজ কিনতে আসা শাহবুদ্দিন জানান, ২০ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ কেনা অনেক সুবিধার। এর মধ্য থেকে খাওয়ার অনুপযোগী পিঁয়াজ ফেলে দিলেও তিনি লাভবান হবেন। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্যানগাড়িতে হকাররা ২৫-২৮ টাকায় বিক্রি করছেন এসব পিঁয়াজ।
পাবনার মোকাম থেকে খাতুনগঞ্জে বিক্রি করতে আসা রহিম উল্ল্যাহ নামে এক ব্যাপারী জানান, প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ খাতুনগঞ্জ পর্যন্ত আনতে তার ৬০ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এখন কেউ ৪০ টাকায়ও তা কিনছে না।