সাভারের আশুলিয়ায় সন্তানসহ বাবা-মাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে আশুলিয়া থানায় নিহত বাবুল হোসেনের ভাই আয়নাল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি করেন। এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার ইউনিক ফকিরবাড়ী মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন (৫০), তার স্ত্রী সহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। সহিদার বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ায় আলাদা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। লাশ তিনটি রাতেই রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে রোমহর্ষক এই হত্যাকান্ডের পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার গভীর রাতেই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও সিআইডির সদস্যরাও ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। এদিকে, বাড়ির মালিক পলাতক থাকার বিষয়টিকে রহস্যজনক মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজামান বলেন, কারখানা থেকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী সাহিদা পৌনে ৯টায় ও তার স্বামী বাবুল হোসেন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে বাসায় ফিরেন। কিন্তু পরের দিন সকালে ফোন কল কীভাবে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের সকালে হত্যা করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে র্যাব একজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। নিহত বাবুল হোসেনের ছোট বোন মনোয়ারা বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন- ‘আমার ভাই বন্ধুর মতো সব কথা আমার সঙ্গে শেয়ার করতো। তার কোনো শত্রু ছিল না। কেন আমার ভাইকে হাত পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি বলেন- রাত থেকে বিভিন্ন সময়ে চা-কপি ও পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সাহিদা ও বাবুল হোসেন এবং তাদের ছেলে মেহেদীকে খাওয়ানো হয়। এতে সবাই অচেতন হলে আসামিরা হাত ও পা বেঁধে গলায় বঁটি দিয়ে গলা কেটে একে একে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। তবে বাড়ির মালিক পলাতক রয়েছে।