সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার টিপরদী এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়। সকালে যানজটের কারণে বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টিপরদী এলাকায় একটি যানবাহন বিকল হয়ে যায়। ফলে গতকাল সকালে টিপরদী থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় যানজটে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী হেঁটে, বিকল্প পথে রিকশা ও অটোরিকশায় গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
তিতাস বাসের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে ২ ঘণ্টার রাস্তা এখন পর্যন্ত ৫ ঘণ্টায় মদনপুরে রয়েছি।’
সেলিম মিয়া নামে এক বাসচালক বলেন, ‘সচরাচর এ সময় মহাসড়কে তেমন যানজট থাকে না। আবার আজ মহাসড়কে যানবাহনের চাপও কম। কী কারণে আমাদের এমন দুর্ভোগে পড়তে হলো জানি না।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, টিপরদী এলাকায় একটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। ১ ঘণ্টা পর রেকার দিয়ে ওই গাড়িটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিভিন্ন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, টিপরদি এলাকায় একটি ট্রাক বিকল হয়ে গেলে দুই দিক থেকে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং যাত্রীরা বিপদে পড়ে ফলে অন্যভাবে যে যার গন্তব্যে যাওয়া শুরু করেন।
এতে আরও যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদের সহযোগিতায় এবং একটি রেকারের মাধ্যমে বিকল যানটি সরিয়ে ফেলা হয়। দুই ঘণ্টা পর আবার যানবাহন চলাচল শুরু করে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি কমতে থাকে।
এক যাত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও আগে তৎপর হলে যাত্রী ভোগান্তি কমতো এবং যান চলাচল শুরু হতো। আমি প্রায় দুই ঘণ্টা আপেক্ষা করার পর যখন বিকল্প রাস্তায় গন্তব্যে পৌছার চিন্তা করছিলাম। তখনই যান চলাচল শুরু হয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।