বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আজ পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়ে কত কথা বলছেন। একদিন তার এক মন্ত্রী তার পিতার নাম ধরে বলেছিলেন, তার কন্যা কখনো পালায় না। আমরা তো শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনে পালানো ছাড়া বীরত্বের কিছু দেখিনি। ’৭৫-এর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচ বছর তিনি বিদেশে পালিয়ে ছিলেন।
গতকাল সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত রিকশাচালক শহীদ মোহাম্মদ কামালের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পরিবারের হাতে অর্থসহায়তা তুলে দেন। পরে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলন যখন বিজয়ের মুহূর্তে ঠিক সেই সময় রিকশাচালক কামালসহ আটজন পৃথিবী থেকে চলে গেছেন। তারা গণতন্ত্রের বিজয়পুত্র। এরা গণতন্ত্রের এক অনন্যসাধারণ সারথি। এদের চালিত রথেই গণতন্ত্রের পতাকা উড়েছে।
রিজভী আহমেদ আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে এক বছর পরই কিংবা ছয় মাস পরই যেখানে দেশে আসতে পারতেন, সেখানেও আসেননি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় তিনি দেশে ফিরতে পেরেছিলেন। দেশে ফিরেই তিনি ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু করেছিলেন। তিনি দেশে ফেরার ঠিক ১৩ দিনের মাথায় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করেন।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, ডিইউজে একাংশের সহসভাপতি রাশেদুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষারসহ রিকশাচালক কামালের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।