বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়া লিজ বাতিলসহ বন্ধ হওয়া সব রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল পুনঃচালুর দাবি জানিয়েছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ। এর মধ্যে মিলসমূহ আধুনিকায়ন, কাঁচাপাট সরাসরি রপ্তানি বন্ধ, বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান, ২০১০ সালের ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং এ্যাক্ট কার্যকর, মাথাভারী প্রশাসন বিজেএমসি সংস্কার ও দুর্নীতি তদন্তে গুরুত্ব দেওয়া হয়। গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. কুদরত-ই-খুদা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত ২৭ আগস্ট ঢাকার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে এ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্তসহ ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। তিনি এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে অবিলম্বে খুলনার পাটকল পরিদর্শনের কথা বলেছেন।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২ জুলাই করোনা চলাকালীন সময়ে একদিনে খুলনার ৯টিসহ সারাদেশের ২৬টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। জীবন-জীবিকা সংকটে পড়ে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েক লাখ মানুষ। প্রশাসনিক দমন-পীড়নের ভয়ে শ্রমিকদের পক্ষে ওই সময় আন্দোলন সংগঠিত করা সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় বন্ধ হওয়া পাটকল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু ও পাটকল লোকসানের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য খুলনা সচেতন নাগরিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও পাটকল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ‘পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ’ গঠন করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিল কর্তৃক এ পর্যন্ত যে সব ফৌজদারি মামলা করেছে তা প্রত্যাহার করতে হবে এবং শ্রমিকরা তাদের পাওনা পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে সব মামলা করেছেন তাও পাওনাদি পরিশোধ করে নিষ্পত্তি করতে হবে।
জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল দীর্ঘদিন বন্ধ হলেও খুলনার খালিশপুর জুটমিল, দৌলতপুর জুটমিল, জাতীয় জুট মিল, কেএফডি ও আর আর জুটমিলের শ্রমিকরা এখনো তাদের বকেয়া টাকা পায়নি। অবিলম্বে তাদের পাওনা পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।