মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন রাজধানীর বেসরকারি আইচি মেডিকেল কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর অনাপত্তিপত্র দিলেও মাইগ্রেশন ঠেকাতে নানা টালবাহানা শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গতকাল এ অভিযোগ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
লিখিত বক্তব্যে ইসরাত জাহান নামে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৭ সালে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনা ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ (সংশোধিত) বাস্তবায়নের জন্য কলেজটির ওপর কয়েকটি শর্তারোপ করা হয়েছিল। এটি পালনে ব্যর্থ হওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আইচি মেডিকেল কলেজকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস কোর্সে কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর ভর্তি স্থগিতাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত এ মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। কলেজ শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন নিয়ে অন্যত্র ভর্তির অনুমতি চান।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, সমস্যার সমাধান দাবিতে তারা গত জুন মাস থেকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বর্জন করে আসছেন। এতেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় গত আগস্ট মাসে তারা মালিকপক্ষের কাছে মাইগ্রেশনের ব্যাপারটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে জানতে চান। শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরলে আইচি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রছাত্রীদের মাইগ্রেশন দেবে বলে জানায়।