বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেছেন, ‘কোনো এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ নয়। এ দেশ সবার। মুক্তিযুদ্ধ এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে হয়নি; কিন্তু১৫ বছর ধরে এ ইতিহাসটা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।’ নেত্রকোনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির পুরনো জরাজীর্ণ ভবন গতকাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘তাজউদ্দীন আহমদকে ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হতো না। কিন্তু তাঁর নাম নেই কোথাও।’ তিনি বলেন, ‘শিল্পীদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা যেন আমাদের সেই পথটা দেখাতে পারেনÑ তাঁদের গান, নাটক ছবি আঁকার ভিতর দিয়ে। বাংলাদেশ হাজারো মালভূমির দেশ। এটা কোনো এক মতের দেশ না।’
নেত্রকোনাকে সংস্কৃতির উর্বর ভূমি উল্লেখ করে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘এ জেলা ময়মনসিংহ গীতিকা ও হাজং বিদ্রোহের তীর্থভূমি। আমি (অন্তর্বর্তী সরকারে) এসেছি ১০০ দিনের মতো হয়েছে। শুনেছি ১১টির মতো জেলায় শিল্পকলা একাডেমি ভবন হওয়ার প্ল্যান আছে। কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আমরা খবর নেব কোথায় কী আটকে আছে। কেন হলো না। সেগুলো ত্বরান্বিত করা হবে। শিগগিরই যেন নেত্রকোনারটা হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস, শিল্পকলা একাডেমির ডেপুটি ডিরেক্টর এস এম শামিম আকতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, নেত্রকোনা কালচারাল অফিসার তমাল বোসসহ সাংবাদিক ও শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।