স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার পক্ষে মত দিলেন বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা। বললেন, প্রতীক থাকলে দলীয় নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্যের শক্তি কাজ করবে। নির্বাচনে তাদের মার্সেল পাওয়ার খাটাবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হতে হবে। কেননা অবৈধ ক্ষমতার ব্যবহার, মার্সেল পাওয়ার দেখানো ও দুর্র্নীতির কালো টাকা বিতরণের সুযোগ থাকবে না।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে গভার্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জনআকাক্সক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতারা এসব কথা বলেন। সভায় স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ে ফোরামের বক্তব্য উপস্থাপন করেন গভার্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের সমন্বয়কারী ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। গভার্নেন্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্য ও এনআরডিএসের নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়ালের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা প্রমুখ।
রাশেদা বেগম হীরা বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আমলাদের প্রভু মনে না করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের গুরুত্ব দিতে হবে আগে। ফলে জেলা পরিষদের অধীনে জেলা প্রশাসককে কাজ করার বিষয়টি দেরিতে হলেও বাস্তবায়ন হওয়া দরকার। সাম্যতার ভিত্তিতে নারীদের জন্য স্থানীয় সরকারেও অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি। ফলে ডিসি, ইউএনওদের আমরা স্যার ডাকি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে ১৬ দফা সুপারিশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের কাছে সেখানেও জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করার কথা বলেছি আমরা। প্রতীক ও দলীয় নির্বাচন থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতার দিক থেকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে কতটুকু এগিয়ে নেওয়া যায় সেটিই এখন ভাবার বিষয়।