ঢাকা ওয়াসার এক প্রকল্পের খরচ বাড়া নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এর কারণ অনুসন্ধান করে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ প্রকল্প প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছেন তিনি। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধির এক প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সেই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা খুবই একটা প্রয়োজনীয় প্রকল্প। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এতবার সংশোধন করতে হচ্ছে, এত সময়ক্ষেপণ হচ্ছে এবং আমাদের ধারণা, ওয়াসার এ প্রকল্পে খুব সম্ভবত অনিয়ম হয়েছে। পরিকল্পনার তো অভাব হয়েছেই। তা না হলে এত দিন কেন সময় লাগবে এবং এখানে সমন্বয়হীনতা আছে কি না সেটা দেখার জন্য আমরা এটা অনুমোদন করেছি, কিন্তু এটাকে আমাদের আইএমইডি থেকে একটা কেইস স্টাডি হিসেবে গ্রহণ করা হলো যে, এই প্রজেক্টটা আসলে এত দেরি হলো কেন এবং এতে কী কী অনিয়ম হয়েছে। কেন প্রকল্পগুলো এতবার সংশোধন করতে হয়, ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে প্রকল্প সুবিধা পেতে অনেক দেরি হয়ে যায়। আগের সরকারের নেওয়া এ প্রকল্প বন্ধ না করে বরং ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা কাটাতে এর মূল্যায়ন করা হবে বলে উপদেষ্টার ভাষ্য।
উল্লেখ্য, একনেকের অনুমোদনে ঢাকা ওয়াসার ওই প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ২, ৮২৬ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ নামে এ প্রকল্পটি যখন নেওয়া হয়, তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ১৫১ কোটি ৭ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনে ব্যয় কমিয়ে প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ১৪৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা; দ্বিতীয় সংশোধনে তা আরও ৪৬ লাখ টাকা কমানো হয়। তৃতীয় সংশোধনে এসে এক লাফে ব্যয় বাড়ানো হলো ২ হাজার ৮২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তাতে প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে ১০ হাজার ৯৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা হলো।