গণমাধ্যমকর্মী স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের আত্মহত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২৪৩ বিশিষ্ট নাগরিক। গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা এবং কবি ও সাংবাদিক গিরীশ গৈরিকের পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা, সম্মান ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে লিখিত সম্মতি জানিয়েছেন কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনৈতিককর্মী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার ২৪৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা স্ট্রিমের বাংলা কনটেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, অশোভন আচরণ ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির ২৬ গণমাধ্যমকর্মীর লিখিত ও প্রমাণসাপেক্ষ অভিযোগের পরও ঢাকা স্ট্রিমের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক গোলাম ইফতেখার মাহমুদ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনায় সংবাদমাধ্যমটির সম্পাদক-প্রকাশক এবং মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান তাদের নৈতিক ও প্রশাসনিক দায় এড়াতে পারেন না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে আছেন-কবি নির্মলেন্দু গুণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ঢাবির অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ আবদুল বায়েস, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, কবি গুলতেকিন খান, ঢাবি অধ্যাপক ও গবেষক ড. কামরুল হাসান মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কথাসাহিত্যিক ইসহাক খান, ঢাবির অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, অভিনেতা ও নাট্যপরিচালক কচি খন্দকার, কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ, কথাশিল্পী নাসরীন জাহান, কবি ও অনুবাদক জুয়েল মাজহার, কবি মাহমুদ কামাল, কলামিস্ট জিয়াউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
বিবৃতির বিশিষ্ট জনেরা তিন দফা দাবি উল্লেখ করেছেন। দাবিগুলো হলো- যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্ত যৌননিপীড়ক আলতাফ শাহনেওয়াজসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের মুখোমুখি করতে হবে; ঢাকা স্ট্রিম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও অবহেলা তদন্তের আওতায় আনতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা, সম্মান ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।