কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতি এ কে আজাদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপির দুই সহস্রাধিক নেতা-কর্মী শহরের মুজিব সড়কে এই ঝাড়ু মিছিল বের করেন। ঝাড়ু মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সেখানে অবস্থান নিয়ে এ কে আজাদের গ্রেপ্তার দাবি করে। তার আগে ফরিদপুরের পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগিতা করার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের আইজির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে গণসংযোগকালে বিএনপিকে উদ্দেশ করে উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়ায় সদর উপজেলার পরমানন্দপুর বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে হামলার মনগড়া তথ্য বানিয়ে মিডিয়াকে ব্যবহার করে এ কে আজাদ বিএনপি ও আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। ফরিদপুরে আবারও আওয়ামী দুঃশাসন শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। অনেকেই বাড়িছাড়া।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টামণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য এ কে আজাদসহ ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।’