বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিক ও তার ছেলেসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কোস্টগার্ড। মামলার আসামি হিসেবে লঞ্চের ম্যানেজারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, কোস্টগার্ডের মামলার পর কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার রিয়াজুল করিম বেল্লাল ও কর্মচারী শুক্কুর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ঈদের দিন তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার হারুন-অর-রশিদ জানান, গত ৫ জুন নির্ধারিত রাত ৯টার পরিবর্তে তিন ঘণ্টা বিলম্ব করে ঢাকা সদরঘাট ত্যাগ করে এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি।
মাঝ নদীতে যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাত দিয়ে নৌকা ও ট্রলারের মাধ্যমে যাত্রী উঠিয়েছে। লঞ্চের ধারণক্ষমতার এক হাজার ৫৫০ জনের বেশি প্রায় চার হাজার যাত্রী ওঠায়। এতে লঞ্চের ছাদেও যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়। ভোর রাতে বৃষ্টি হলে যাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিচে নামতে না দিয়ে গেট তালা দিয়ে রেখেছে। এতে বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রী শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত শুক্রবার সকালে লঞ্চটি বরিশাল নৌ-বন্দরে ভেড়ার পর অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এমনকি তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান ও তার ছেলে শান্ত হাসান ঘটনাস্থলে এসে আক্রমণাত্মক ও নাশকতামূলক আচরণসহ মারমুখী হয়ে দায়িত্বরত কোস্ট গার্ড সদস্যদের হুমকি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেয়। এ ঘটনায় লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান, তার ছেলে শান্ত হাসান ও লঞ্চ স্টাফদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ও নাশকতামূলক আচরণ এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।