বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আওয়ামী লীগের আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ফিরতে পারবে না এবং আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগকে হত্যা করেছে, খুন করেছে। সেই হত্যাকারী শেখ হাসিনা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন হলে বোঝা যাবে- কোন দল কতটা শক্তিশালী। আমরাও মনে করি, নির্বাচনটা খুব জরুরি। নির্বাচন হলে কারা ২টা বা ৩টা সিট পাবে, কাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেটা নির্বাচন ছাড়া তো বোঝা যাবে না। কিন্তু কায়দা কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কী কী ফ্যাতনা বিষয় সামনে এনে নির্বাচনকে কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে এনেছে।
গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূস যখন লন্ডনে বৈঠকে বসেছিলেন, তার আগে বাংলাদেশ একটা অস্থিরতার মধ্যে চলে গিয়েছিল। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারত না। বৈঠকের পর একটা আশার অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, নির্বাচন হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক, মাঝে হোক, নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয়- এখন যে সংকট, সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপির ওপর আক্রমণ, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা এবং আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলায় তথাকথিত সাজা, বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে মামলায় জড়িয়ে সাজা দেওয়া, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৈন্য প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বিরোধী দলের ওপর নৃশংসতা চালিয়ে মনে করেছিলেন যে, বিএনপি আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না। জনগণের মার দুনিয়ার বাইর। শেখ হাসিনা তার জান বাঁচাতে বসতবাড়ি-ভিটা সবকিছু রেখে পালিয়েছেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরতন্ত্র যেন বাংলাদেশে ফিরে না আসতে পারে, তার একমাত্র পথ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এ জিনিসটি বর্তমান সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।